আল্লাহর সন্ধানে | মুুহাম্মদ আতিক উল্লাহ

দুই ব্যক্তি মরুভূমির মধ্য দিয়ে সফর করছে। দুজন আগ থেকেই কিছুটা পরিচিত। একজন ব্যবসায়ী , আরেকজন কিছুই করে না। কিন্তু গোপনে চুরি করে বেড়ায়। এ তথ্য ব্যবসায়ীর জানা ছিল। সে জন্য শুরু থেকেই ব্যবসায়ী সতর্ক। তার জানা ছিল, সুযোগ পেলেই চোর তার ব্যবসার হীরাগুলো চুরি করে পালাবে।
চোর সঙ্গীও তক্কে তক্কে আছে। কীভাবে ব্যবসায়ীর হীরাগুলো চুরি করা যায়। চোর তো আর জানে না, তার চোরামীর খবর ব্যবসায়ীর অগোচরে নেই। ব্যবসায়ী রাতে ঘুমিয়ে পড়লে , চোর কয়েকদিন পর পর সম্ভাব্য সব জায়গায় খুঁজল । কিন্তু কোথাও হীরার হদিস পেল না।
গন্তব্যে পৌছার পর চোর আড় ভেঙ্গে থাকতে পারল না।
-ভাই, আপনার হীরাগুলো কোথায় রাখতেন? এত খোঁজাখুঁজির পরও এগুলো পেলাম না।
-তুমি সবজায়গাতে খুঁজেছ?
-জি, এমনকি আশেপাশের বালুর নিচে পর্যন্ত খুঁজেছি! এই দেখুন, আমার হাতের নখগুলো পর্যন্ত রক্তাক্ত হয়ে গেছে।
-না, তুমি সব জায়গায় খোঁজনি। আমি হীরাগুলো রাতে শোয়ার আগে , তুমি যখন প্রকৃতীর ডাকে সাড়া দেওয়ার জন্য দূরে যেতে , তখন তোমার সামানার মধ্যে রেখে দিতাম। আবার সকালে তুমি দূরে গেলে নিয়ে নিতাম।
আমাদের অবস্থাও এমনি। আমরা মনে করি, আল্লাহকে পেতে হলে, অন্য কারও সাহায্য লাগবেই। আমার অন্ধকার পাপী-তাপী হৃদয়ে আল্লাহ থাকতে পারে না। তিনি বুযুর্গদের কাছেই থাকেন। সেজন্যই তাই আমরা আল্লাহকে পেতে প্রথম তাদের কাছে ছুটে যাই। একথা খেয়াল করি না, তিনি আমাদের মধ্যে বাস করেন।
আমরাও চোরের মতো বিভ্রান্ত হয়ে , যেখানে আল্লাহ সবসময় পাওয়ার কথা সেখানে না খুঁজে দূরে কোথাও খুঁজি।
কোঁচড় ভরা মান্না/৮৫